সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি–কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জনপ্রিয় নেতা ডা. মো. শহিদুল আলমের দলীয় মনোনয়ন দাবিতে গতকাল শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আসনে জনবিচ্ছিন্নতা ও মনোনয়ন বাতিলের প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভে সরব হয়ে উঠেছেন।
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল ছিল আশাশুনির বুধহাটা বাজার, যেখানে বিকাল সাড়ে চারটা থেকে ক্যাটারিং চলতে থাকে। এরপর একটি বিশাল মিছিল বের হয়, যা কুল্যা বাসস্ট্যান্ডের পর্যায়ে পৌঁছে শেষ হয় করিম সুপার মার্কেটের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়ে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগান দিয়ে ডা. শহিদুল আলমের মনোনয়নের পক্ষে জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনসেবার পাশাপাশি দলের জন্য নিবেদিত এই নেতা প্রশংসনীয়, তাই তাকে মনোনীত না করে দল ভেতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টিের অপচেষ্টা চলছে।
ওই সময় এলাকাবাসী, বিএনপির স্থানীয় নেতারা—যেমন: বুধহটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শওকত আলী, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ফারুক হোসেন, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুজ্জামান বকুল, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার রুহুল আমিন ও এস এম প্রিন্স আহমেদের মতো নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, “আশাশুনি ও কালিগঞ্জের বাসুদরদর্শী জনগণ ডা. শহিদুল আলমকে চাই। তাঁর নেতৃত্বে আলো ছড়িয়েছে বিএনপির আশার আলো। যদি অবিলম্বে তাকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়, তবে দলের কর্মীরা হতাশ হবে এবং তৃণমূলের দিক থেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
অতএব, তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি করেছেন, যেন ডা. মো. শহিদুল আলমকে দ্রুত দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এই আন্দোলনের একটাই মূল লক্ষ্য, দলের সুসমন্বিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে স্বচ্ছ এবং জনপ্রিয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দ্রুত দলের পদধারীরা সুন্দর সিদ্ধান্ত নেবেন।

