বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিল এক কঠোর বাকশাল সরকার। এই ইজারাকৃত একনায়কত্ব ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে মহান revolucionary নেত্রী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক সংহতির মাধ্যমে দেশের এই অন্ধকার সময় শেষ করেন। এর ফলে, তিনি দেশে বহুল প্রত্যাশিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রকোপ প্রচার করেন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সকালে নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াচত্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মঈন খান। এই আয়োজনে তিনি এক আনন্দ শোভাযাত্রার পথসভায় অংশ নেন।
মঈন খান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। এ সংগ্রামে তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গেও কুণ্ঠিত হননি। তিনি মনে করিয়ে দেন, স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগ বাকশাল ও স্বৈরশাসন চালু করে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন আন্দোলনের মুখে তারা বারবারই চাপে পড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
পথসভা শেষে শোভাযাত্রাটি উপজেলা বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয় পাঁচদোনা মোড়ে। এতে অংশগ্রহণ করে উপজেলা বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনের অনেকে। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, প্রচার সম্পাদক হাজী জাহিদ হোসেন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো: আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন, পৌর মহিলা দলের সভাপতি শাহানা পারভীন, পলাশ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক মোমেন, সদস্য সচিব শাহীন বিন ইউসুফ, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ আহমেদ পিন্টু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো: আল-আমীন ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো: নাজমুল হোসেন ভূইয়া সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এখনও দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের স্মরণে বিশ্লেষণ ও আলোচনা চলমান থাকবে।

