বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে, জামায়াত নির্বাচন বানচালের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে ভয় পাওয়ার কারণেই তারা আনুপাতিক ভোট এবং পিআরসহ নানা দাবির উপর জোর দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথাগুলো বলেন।
ফখরুল বলেন, একদল মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের ধর্মের অপব্যাখ্যা করছে, যা মূলত মুনাফেকি অভিনয়। এভাবে নিজস্ব অস্তিত্ব রক্ষার নামে জামায়াত অযৌক্তিক কর্মসূচি দিচ্ছে, যা দেশের জন্য হুমকি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। যদি এবার নির্বাচন দেরি হয়, তাহলে বাংলাদেশ এক অনির্বাচিত, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বিএনপি এই নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট সংস্কারের অঙ্গিকার প্রত্যাশা করছে, তবে এই বিষয়ে অযৌক্তিক জোর জবরদস্তি করলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় এলে বিএনপি ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি নতুন চাকরি সৃষ্টি করবে, এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও কার্যকর করে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।
শিক্ষা খাতে সংস্কারের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষকদের বাদ দেওয়া অপ্রয়োজনীয়, যা শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে অসম্পূর্ণতা সৃষ্টি করছে।
অতঃপর, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অমর স্থান ও অবদান স্মরণ করে বলেন, জিয়ার দর্শন নতুন রাজনৈতিক চিন্তার সূচনা করেছে এবং আজও তা প্রাসঙ্গিক।

