গেল অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সড়ক, রেল ও নৌপথে সংগঠিত মোট ৫৩২টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৩১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সড়ক পথের দুর্ঘটনাগুলোর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যা মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ। রেলপথে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন মারা গেছেন এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১১টির দুর্ঘটনায় নৌযানে নিহত ১২, একজন নিখোঁজ রয়েছেন। উল্লেখ্য, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। এতে মোট ১৭৬ জন নিহত ও ১৩৭ জন আহত হয়েছেন।
অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয় ঢাকা বিভাগে, যেখানে ১২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত এবং ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয় ময়মনসিংহ বিভাগে, যেখানে ২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ২৭ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই তথ্য সংগৃহীত হয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল দ্বারা, তারা দেশের মূল গণমাধ্যমের رپور্টেজ সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত খবর পর্যবেক্ষণ করে এই রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ৫০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৯ জন চালক, ১১৯ জন পথচারী ও আরো অনেকের মধ্যে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা ব্যক্তিরা রয়েছেন।
সংঘটিত দুর্ঘটনার বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দ্বারা, যেখানে দেখা গেছে ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সরাসরি জড়িত। ট্রাক, বাস, রিকশা, অটোরিক্সাও আছড়ে পড়েছে এই তালিকায়। দুর্ঘটনার কারণগুলি বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ঘটনাই চাপা দেওয়া, মুখোমুখি সংঘর্ষ ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার মতো।
অক্টোবর মাসে সংগঠিত দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে জানা গেছে, মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৪২ শতাংশ মহাসড়কে, আর বাকিটা আঞ্চলিক মহাসড়ক, ফিডার রোড ও অন্যান্য রাস্তার মাধ্যমে ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৪.৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১.২৭ শতাংশ এবং রেলক্রসিংয়ে ০.৬৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এই রিপোর্ট দেশের দুর্ঘটনা পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে, যা ভবিষ্যতে সচেতনতা বাড়াতে ও দুর্ঘটনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।