ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সাবেক স্ত্রী মারলা ম্যাপলসের সম্পর্ক নিয়ে নতুন গোলমালের ঝলক এসেছে সাম্প্রতিক প্রকাশিত নথিপত্রে। মার্কিন তত্ত্বাবধায়ক হাউস ওভারসাইট কমিটি নতুন করে এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে। প্রমাণিত হয়েছে, এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ কতটা গভীর ও জটিল ছিল। এসব নথিতে ইমেইল, ব্যক্তিগত লেনদেন সহ নানা গোপন তথ্য উঠে এসেছে, যা তাদের সম্পর্কের গভীরতা ও গোপন গল্পের আলোকপাত করে। ২০১৬ সালে ভারতের বংশোদ্ভূত লেখক দীপক চোপড়ার সাথে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত আলাপের তথ্যও জানা গেছে। এক ইমেইলে চোপড়া লিখেছেন, যখন মারলা ম্যাপলস গর্ভবতী হয়েছিলেন, তখন তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বাজি হেরে যান এবং এক ট্রাক শিশুখাদ্য পাঠাতে বাধ্য হন। এ ছাড়াও, তাকে জানানো হয়েছিল যে, মারলা ম্যাপলস অন্তঃসত্ত্বা—এ তথ্যের ভিত্তিতে চোপড়া বাজিতে হেরে যায়। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠে এসেছে। ১৯৯৩ সালে মারলা ম্যাপলসের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক স্থাপিত হয়, এর আগে তিনি ইভানার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। ১৯৯৯ সালে ট্রাম্প ও ম্যাপলসের বিচ্ছেদ ঘটে। নতুন ইমেইলগুলোতে দেখা যায়, তারা একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন, এমনকি ২০১০ সালের এক সেমিনারে তারা বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১৬ সালে ম্যাপলস তাদের বন্ধুত্বের ছবি শেয়ার করেন। এসব তথ্যের প্রসঙ্গে দীপক চোপড়া বলেন, তিনি যখনই তদন্তকারীদের জন্য তথ্য দিতে চান, তখন তার নৈতিক দায়িত্বের কথা মনে করেন। অন্যদিকে, প্রকাশিত নাইটের কিছু অতিপরিচিত ইমেইল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেখানে এপস্টেইনের সহযোগী ম্যাক্সওয়েল এবং লেখক মাইকেল উলফের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের বিবরণ রয়েছে। একটি ২০১১ সালের ইমেইলে এপস্টেইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প তাঁর ঘরে থাকা কিছু কুকুরের মতোই। তবে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ দায়ের হয়নি, কারণ তিনি বারবার বলেছেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না বা জানতেননি। তবে, নথিপত্রে দেখা যায়, ১৯৯০-এর দশকে ট্রাম্প অন্তত সাতবার এপস্টেইনের বিমান ব্যবহার করেছিলেন। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে ট্রাম্প একটি অশ্লীল চিত্র পাঠান, যা পরে তিনি নকল বলে দাবি করেন। হোয়াইট হাউস এই প্রকাশিত ইমেইলগুলোকে অপ্রিয় ও বিতর্কিত হিসেবে দেখিয়ে বলেছে, ট্রাম্প এপস্টেইনের আচরণের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন না। এখন, কংগ্রেসে নতুন ডিসচার্জ পিটিশনের মাধ্যমে সব নথি প্রকাশের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, ফলে আরও অজানা তথ্য সামনে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের রাশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক কথাও উঠে এসেছে, যেখানে তিনি ভিটালি চুরকিনের মাধ্যমে ট্রাম্পের সঙ্গে সংযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন। আবার ২০১৭ সালে এপস্টেইন তার সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, ‘ট্রাম্পের শরীরে যেন কোনও ভালো কোষই নেই।’ এসব তথ্যের প্রকাশের ফলে আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সম্পর্কের তুমুল সংলাপ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: ইউএস টুডে

