বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) শক্ত অবস্থানে থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, সমমনা দলগুলো দীর্ঘ সময় ধরে একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে এসেছে—একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তার দাবি, ইসি নিজের ক্ষমতা নিয়েই কাজ করবে এবং কখনো নতজানু হওয়া উচিত নয়।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেওয়ার পর ড. মঈন খান বলেন, এই ধরনের মতবিনিময় নতুন কিছু নয়। আগে যত আলোচনা হয়েছে, তার সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে আমি গ্রহণযোগ্যতা দিই না। তবে এই প্রক্রিয়াটিকে স্বাগত জানাই।
প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজের প্রার্থীদের নিয়মনীতি মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আচরণবিধি অনুসরণ করতেই হবে, এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে তফসিলের বিষয়ে তিনি কঠোর মনোভাব প্রকাশ না করে বলেন, আমরা যা পরামর্শ দিয়েছি, সেটার পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি যোগ করেন, তফসিলের বাইরে যাওয়ার সুযোগ তিনি দেখতে পান না।
অন্যদিকে, নিয়মনীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করে ড. মঈন খান বলেন, যতই অঙ্গীকারনামা নেওয়া হোক, যদি নিজেদের মধ্যে সংশোধন না হয়, তাহলে তা কার্যকর হবে না। শাস্তির বিধান স্পষ্ট না থাকায় নিয়মনীতি লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়বে বলে তার মত।
বর্তমান যুগে বাকস্বাধীনতার নতুন দিক হিসেবে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অপপ্রচারের উত্থান উল্লেখ করেন। বলেন, বর্তমান সময়ে ভুল তথ্য ও অপব্যবহার বাড়ছে। স্বাধীনতার সুযোগ থাকলেও এর অপব্যবহার হওয়াটা স্বাভাবিক।
ড. মঈন খান বিশ্বাস করেন, দেশ একটি ক্রান্তিকালে রয়েছে এবং এই সময়ে ইসির ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইসিকে অনুরোধ করেন, তাদের বিদ্যমান লোকবলকে সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার করতে। একই সঙ্গে, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের আহ্বান জানান—তিনি বলেন, এতে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুণগত পরিবর্তন আসবে।

