বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য রায়ের বিষয়ে ব্রিটিশ বেশ কিছু আইনজীবী মন্তব্য করেছেন, যা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। তাদের মতে, এই মামলার ওপর নির্ভরশীলতা ‘পরিকল্পিত এবং অন্যায্য’ হতে পারে, যা দেশের রাজনীতি ও বিচারব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক। এই আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম রয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি। তাঁরা বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে এই ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন, যার ভিত্তিতেই এই আলোচনাগুলি শুরু হয়েছে, সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে খবর প্রকাশের মাধ্যমে।
২০১৬ সালে দুর্নীতির অভিযোগে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকি, তার বোন শেখ রেহানা এবং সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। যেখানে মামলার বিষয় ছিল প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগ। এই মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অক্টোবরের শুরুতে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক মতভিন্নতা থেকে উদ্ভূত। তবে, এই মামলার কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগের পর এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্রিটিশ আইনজীবীরা জানান, টিউলিপ যেহেতু যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন এবং সেখানে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত একজন এমপি, তাই তাকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণ করতে হলে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তারা আরও বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকলেও তিনি এখনো পলাতক নন এবং তার বিরুদ্ধে কোনও প্রকার আন্তর্জাতিক নোটিশও জারি হয়নি।
তবে, এই ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার্যক্রম চালানো হয়। অন্যদিকে, টিউলিপ দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি। তিনি বলছেন, তার সরকারের মনোযোগ বিভ্রান্ত করার জন্য এইসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
গবেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে, especially যদি এই মামলাগুলি আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। আন্তর্জাতিক মনোভাবের পরিবর্তনের পাশাপাশি এই মামলার রায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

