অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় রাখা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গেছে। চলতি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের এই শাখায় লকার দুটি ভাঙা হয়। এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ওই লকার দুটির তালা জব্দ করে। সূত্র জানায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিআইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার দুটির তালা ভাঙা হয়। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, দুই লকারে মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণ রয়েছে, তবে সেখানে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। আরও বিশদ তথ্য জানাতে পারে দুদক এই বিষয়ে। জানা গেছে, শেখ হাসিনা এই দুই লকারের নম্বর ছিল ৭৫১ ও ৭৫৩। এর পাশাপাশি, ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে তাঁর একটি লকার জব্দ করা হয়। সেই শাখায়, যা রাজধানীর মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত, তাঁর লকার নম্বর ছিল ১২৮। এছাড়া, ওই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৫৬ লাখ টাকা জব্দ করেছে এনবিআর। এর মধ্যে একটি অ্যাকাউন্টে ১২ লাখ টাকা এফডিআর এবং অন্যটিতে ৪৪ লাখ টাকা রয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোও তদন্তের আওতায় এসেছে। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়ে বলেন, লকার ভাঙার বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন, কিন্তু সেখানে কী পাওয়া গেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানেন না। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতন হয়। এরপরই, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি এবং দুর্নীতি বিষয়ক তদন্ত শুরু করে। এই মামলায়, শেখ হাসিনা ও তাঁর সময়ের কিছু বরখাস্ত ও ক্ষমতায় থাকা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির তদন্তে ১১টি বিশেষ দল গঠন করা হয়।

