বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে এসে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে এই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছি, এটি দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসের অংশ। বিএনপি দুইবারই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ থেকে গণতন্ত্র রক্ষা করেছে—প্রথমবার শেখ মুজিবের সময়, যখন তার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হয়েছিল, তাকে রক্ষা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বার সম্ভব হয়েছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনা, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার মতো নেতাদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বর্তমানে খালেদা জিয়া অসুস্থ, আমরা তাঁর জন্য দোয়া করছি। তিনি বলেন, এই ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি দুইবারই বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। এই কারণে আমি বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি এবং শহীদ জিয়াউর রহমানকে আমার আদর্শ মনে করি। তার সাহস, ব্যক্তিত্ব ও সততা এখনো সবাইকে অনুপ্রেরণা দেয়। তিনি বলেন, সোমবার (১ ডিসেম্বর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সদস্য হিসেবে যোগ দেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান বিএনপির নেতৃত্বে থাকাকালীন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের জন্য যথাযথ দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তারেক রহমানের বীরত্বপূর্ণ পরিবারের পটভূমি এবং তার সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে, তিনি বলেন, তারেক রহমানের রক্তের কোয়ালিটি বাংলাদেশে অপ্রতুল। সবাই তাঁদের সাহায্য করে একটি নতুন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। তিনি আরও বলেন, তার ধারণা দেশের বিখ্যাত তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। ৩৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলছেন, আমাদের দেশের মানুষের মান অনেক অন্যদের তুলনায় সেরা। সে কারণেই বিশ্লেষণ করেন, ভোটাররা যদি বিএনপিকে সুযোগ দেন, তাহলে তারা দেশের জন্য যা করতে সক্ষম, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কি কিছু করতে পারবে—এ ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকার মানুষ হিসেবে আমি এখানে কাজ করতে আগ্রহী। দেশের জন্য কাজ করতে আমি প্রস্তুত, এমনকি আইএমএফের লাভজনক চাকরি ছেড়ে এসেছি। এটি আমার বাবার স্বপ্ন ছিল, আমি এটি বাস্তবায়ন করতে চাই। বিএনপির এই যোগদানে তারেক রহমানের পাশে থাকায় বিএনপির মহাসচিব তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

