আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে উৎসাহ এবং আশঙ্কা উভয়ই দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদস্থ্যের কার্যালয়ে ৬৪ জেলার পুলিশের উপপ্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি এ সময় বলেন, নির্বাচন হলো নতুন বাংলাদেশের জন্মদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, যেখানে পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখা আবশ্যক। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন হবে ইতিহাসে এক দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা, যা স্বচ্ছতার স্বর্ণযুগ সৃষ্টি করবে। আতঙ্ক নয়, আশাবাদের কথাই তিনি তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই নির্বাচনটি সাধারণ নির্বাচন নয়; এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও শহীদদের আত্মত্যাগের উপর ভিত্তি করে গড়া নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি অশুভ সুযোগ। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে পুলিশকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আজকের বিশ্ব বিশ্বস্ত দৃষ্টিতে এই নির্বাচনকে স্মরণ করবে, কারণ এটি হবে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন ঘিরে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সফলতার জন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তাকে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এটাই হবে শহীদদের স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। সেই লক্ষ্য রেখে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, যেহেতু এই নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখাবে, তাই যেন কোনো ধরনের পক্ষপাত বা অবিশ্বাসের ছাপ না থাকে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, কারণ পেশাদারিত্ব এবং সততার পাশাপাশি অপ্রিয় সিদ্ধান্তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই নির্বাচনের জন্য বিশেষভাবে নির্বাচন করা হয়েছে প্রত্যেক জেলায় পেশাদার পুলিশ অফিসারগণ, যারা দায়িত্ব পালনে সযত্ন ও আদর্শের সাথে কাজ করবেন।
অতঃপর, তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, আমাদের লক্ষ্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, যেখানে প্রকারান্তরে বেআইনী বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকানো হবে। এই দায়িত্ব পালন করতে হবে সম্পূর্ণ সততা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে। অবশেষে তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে নতুন বাংলাদেশের সূচনা, যেখানে দেশের মানুষের স্বপ্ন ও আশা পূরণ হবে।

