বিশ্বের ১৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক ঘোষণা দিয়ে জানান, এসব দেশের নাগরিকরা এখন থেকে কোনওভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তের ফলে আশাকরা যাচ্ছে, দেশটির অভিবাসন নীতিতে আরও দৃঢ়তা আসবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।
সালিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, এই ১৯ দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন, সুদান, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য যে, এই দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য আগে থেকে কিছু ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল, কিন্তু এখন থেকে তাদের সব ধরনের আবেদনই স্থগিত করা হয়েছে এবং পুনঃমূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।
নতুন এই নীতির আওতায় আবেদনকারীদের ওপর সম্পূর্ণ নতুন করে তদন্ত চালানো হবে। এর মধ্যে কোনো আবেদন মানদণ্ডে আসলে না, তাহলে প্রয়োজন হলে সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকারের দরকার হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এই দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত কয়েকটি গুরুতর অপরাধের ঘটনা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি।
অতীতে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আফগান শরণার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ধরনের ঘটনা একটি বড় সূত্র হিসেবে কাজ করেছে, যাতে শরণার্থী গ্রহণের বিষয়েও নাকচ ভাবনা প্রকাশ করে মার্কিন সরকার।
রাজনীতির দিক থেকেও এটি একটি বড় স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প মন্ত্রিসভায় সোমালিয়ার শরণার্থীদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন, এমনকি তাদের ‘আবর্জনা’ হিসেবে অভিহিত করেন। ডেমোক্র্যাট নেত্রী ও কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সেটি আরও স্পষ্ট হয়, যদিও তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ও মন্তব্যগুলো ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

