ছেলেদের ফুটবল দলের অবস্থা যেখানে কঠিন, সেখানে মেয়েদের ফুটবলও এখন ভর করেছে চ্যালেঞ্জের ওপর। প্রথমবারের মতো ইউরোপের ফুটবলের স্বাদ নিতে নামা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আজারবাইজানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে সমান টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে খেলে যায়। ম্যাচের শেষ মিনিটে শেষ আঘাত হানেন তারা, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ২-১ গোলে হার মানতে হয় তাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের প্রথমার্ধে আজারবাইজানের নাম্বার নাইন ও অধিনায়ক জাফরজাদা গোল করে প্রথম এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে। শারীরিক ও কৌশলের দিক থেকে দক্ষ এই দলের ডিফেন্সকে দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেন। তবে বাংলাদেশও হার মানে না। ৩৪ মিনিটে মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দা দূর থেকে দারুণ একটি শট নিয়ে গোল করেন, ফলে প্রথমার্ধে স্কোর দাঁড়িয়ে হয় ১-১।
বাংলাদেশের গোলটি ছিল একটি মানসম্মত শট, যা আজারবাইজানের গোলরক্ষক পাঞ্চ করে ফেরাতে পারলেও মারিয়া জোরের ওপর একটি শক্তিশালী শট এনে জাল ঝলকানি করে দেন। অন্যদিকে, ইউরোপের দ্রুততম ফুটবল, শারীরিক দক্ষতা ও কৌশলের সঙ্গে বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ার্ধে তারা রক্ষণস্থলে শক্তিবৃদ্ধি করেন, কিন্তু সময় শেষের দিকে এসে জালে গোল খেয়ে বসে।
৮৪ মিনিটে আজারবাইজানের ইশা জালের উপর দিয়ে গোল করে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের লড়াই শেষ করে দেন। ফলে, এই ম্যাচে জয় তুলে নেয় আজারবাইজান। বাংলাদেশ দলের জন্য এটি একটি কঠিন শিক্ষা, তবে তাদের অদম্য লড়াকু মনোভাব ভবিষ্যতের জন্য নতুন আশা জাগিয়ে তোলে।

