আজ রবিবার সকাল সোয়া এগারোটা থেকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শুরু হয়েছে, যা নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় সভাপতিত্ব করছেন ইসির চেয়ারম্যান এ এম এম নাসির উদ্দিন। এর আগেও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত একাধিক সভা ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনের আইনি ও প্রশাসনিক তফসিল চূড়ান্ত করতে ইসি আগেই কথা বলেছিল যে, আগামী ১০ ডিসেম্বর তারা রাষ্ট্রপতি বরাবর সার্বিক প্রস্তুতির পূর্ণ বিবরণ প্রদান করবেন। এরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করবেন।
আজকের সভায় মূল আলোচনায় রয়েছে- তফসিল ঘোষণা করার আগে ও পরে গ্রহণীয় কার্যক্রমের পরিকল্পনা, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের অগ্রগতি, মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ক সিদ্ধান্ত, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদনের 처리 ও এসওপিচূড়ান্তকরণ, মহড়া ভোটের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে থাকা ৯টি মেশিনের আইডিইএ প্রকল্পে হস্তান্তর, বিএমটিএফের স্থগিত বিলের পরিশোধ, অতিরিক্ত ১৪ লাখ স্মার্ট কার্ডের পার্সোনালাইজেশন বাবদ বকেয়া নিষ্পত্তি এবং স্মার্ট কার্ডে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার মুদ্রণ সিদ্ধান্তসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
গত নভেম্বরে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির নেত্রিত্বে ইসির পুনর্গঠনের পর থেকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিতে দ্রুত গতি আসে। পরে গণভোটের সম্ভবনাও যোগ হয়। সরকার নিশ্চিত করেছে, দুই নির্বাচন এক সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অর্ধশতাধিক হলেও, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তারা ভোটের বাইরে থাকছে।
আজকের খবর/ এমকে

