আসন্ন বিপিএলে গুরুতর দুর্নীতি ও ফিক্সিংয়ের প্রভাব ঠেকাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে। আগের আসরে ফিক্সিং সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা সত্বেও অনেক ক্রিকেটারকেই নিলামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায়, ভবিষ্যতের আসরে যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি লুকানো বা ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন পদক্ষেপ হিসেবে, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একজন করে ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এর জন্য বিসিবি ইতিমধ্যেই সিআইডির সাথে মৈত্রিপত্রে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে, যেখানে তারা নতুন সমঝোতা স্মারক (এমओইউ) স্থাপন করবে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিপিএলের নিলাম শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে এমন ঘোষণা দেন বিসিবির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে খেলাধূলার integrity বা সততার স্তর আরও শক্তিশালী হবে। সিআইডি বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। তারা হোয়াটসঅ্যাপের কথাবার্তার মতো ডেটা দেখতে পারে এবং তদন্তে সম্পূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে। এর মাধ্যমে, বোর্ডের লক্ষ্য স্পষ্ট— খেলার স্বচ্ছতা ও সততার ওপর জোর দেওয়া, যেখানে দুর্নীতি কোনও স্থান পাবে না।
প্রসঙ্গত, বিপিএলের ১২তম মৌসুমের পর্দা উঠবে ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর মিরপুরে আয়োজিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, এবং ২৩ জানুয়ারি বিজয়ি দলের হাতে ট্রফি তুলে দিয়ে এই আসর শেষ হবে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি থাকবে এক ঢালভাবে উত্তেজনাপূর্ণ ও স্বচ্ছ টুর্নামেন্ট।
আজকের খবর/বিএস

