নতুন একটি জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে, যা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত হয়েছে, ভারতকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই নীতিতে মূল বার্তা হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও প্রতিরক্ষা খাতে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত ওই নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গঠিত কোয়াডের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এটি באזורের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি বিশ্বে মোট জিডিপির প্রায় অর্ধেকের সমান অর্থনীতির উৎস, যা আগামী শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে তার মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে, যার সম্মিলিত অর্থনীতি প্রায় ৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার, তারা এই অঞ্চলের শোষণমূলক অর্থনৈতিক আচরণ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, কোয়াডের মাধ্যমে চার দেশের সহযোগিতা ও প্রতিরক্ষা জোরদার করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামো শক্তিশালী করে আরেক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ওয়াশিংটন এই দলের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলছে, ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ নিশ্চিত করতে ও গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের নৌচলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা করতে এই গোষ্ঠী অপরিহার্য। এই সব বিকাশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার মনোভাব প্রতিফলিত করছে যে, তারা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির উন্নয়নে অবিচল। (তথ্যসূত্র: এনডিটিভি)

