পঞ্চগড়ের শীতের প্রকোপ এখন আরও বেড়ে গেছে। রাতের তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ বছরের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার ও রোববার এই তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে ২৬.৭ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছেছে। সকালে সূর্য উঁকি দিতে শুরু করলে শীতের কড়াকড়ি কিছুটা কমে আসে, তবে বিকেলূহায় আবার শীতের প্রবাহ শুরু হয়। উত্তরাঞ্চলীয় এই শীতপ্রবণ এলাকার রাতের তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতে থাকায় শহর ও গ্রামে শীতের প্রকোপ আরও তীব্র হয়েছে। সাধারণত বিকেলের পর থেকে হিমশীতল বাতাস এবং হালকা কুয়াশার কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়। রাতের দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় আকাশ, যা সকাল পর্যন্ত থাকে। তবে ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমতে শুরু করে এবং সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আসে। আবার বিকেলে ফিরে আসে শীতের তীব্রতা, ফলে পরেরদিনের সকালে শীত আরও তীব্র হয়ে ব্যাপক দুর্ভোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সকালবেলা যার কারণে কর্মজীবী মানুষদের বাইরে বের হতে দূর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়। জেলা শহরের পৌর খালপাড়া মহল্লার নির্মাণ শ্রমিক ফজলুল করিম বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে বিকেলের পর থেকে শুরু হয় কনকন শীত। রাতের সময় অনেক ঠাণ্ডা লাগে এবং ভোরের কুয়াশা খুবই ঘন হয়। তবে সূর্য উঠলে শীতের شدت ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলছেন, সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও তা মাত্র ২৬.৭ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত রোববার দেশের মধ্যে সবচেয়ে 낮 তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সপ্তাহের মধ্যে আবারো তাপমাত্রা কমার আশঙ্কা রয়েছে, যা শীতজীবীদের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

