বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত নভেম্বর ২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এক বিশাল পরিমাণ চোরাচালান সামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। এই অভিযানে মোট মূল্য লক্ষাধিক টাকা হারানো হয়নি, বরং দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিজিবির দায়িত্ববোধ আরও জোরদার হয়েছে।
জব্দকৃত বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২ কেজি ২৬৬.২২ গ্রাম স্বর্ণ, ১২১ গ্রাম রূপা, ১৭,২৩৪টি শাড়ি, ২১,৩৩৮টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর বা কম্বল, ২৭,৪৫০টি তৈরী পোশাক, ৯,৭৪০ মিটার থান কাপড়, ৩,৪০,৩৮০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৬,৫৬৪ পিস ইমিটেশন গহনা, ১০,০৯,৪২১টি আতশবাজি, ৬১৬ ঘনফুট কাঠ, ১,২৮৪ কেজি চা পাতা, ১১,৪৭৯ কেজি সুপারী, ৬৬,৫৪৬ কেজি কয়লা, ১২,৮৯০ ঘনফুট পাথর, ৫৯৭ কেজি সুতা বা কারেন্ট জাল, ১৫,১৭৮টি প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ৪৪৫টি মোবাইল ও ১৫,১৪৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৭৩,৫৬৪টি চশমা, ৩৭,৬৯০.৫ কেজি জিরা, ৪,৯৭০ কেজি চিনি, ১,৬৩,৪৯০ কেজি পিয়াজ, ১,৭৩১ কেজি রসুন, বিভিন্ন ধরনের বীজের প্যাকেট, সার, কীটনাশক, ডিজেল, চকোলেট, এবং গরু-সহ নানা ধরনের পশু-পাখি। পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, ট্রলি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনও জব্দ করা হয়েছে।
অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দেশীয় পিস্তল, হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন, গোলাবারুদ, গান পাউডার, মাইন, ককটেল ও অন্যান্য অস্ত্র।
অধিকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০,৫৮,৭৮৯ পিস ইয়াবা, ১৯৩ গ্রাম হেরোইন, ৩৭১৪ বোতল ফেনসিডিল, বিদেশী ও দেশীয় মদ, গাঁজা, বিড়ি-সিগারেট, নানা ধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, সিরাপ, বড়ি ও ওষুধ।
সীমান্তে এই অভিযানকালে বিজিবি ১৫৯ জন চোরাকারবারি ও পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেছে এবং ১৩৭ জন বাংলাদেশি ও ২ জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৪০৩ জন মায়ানমার নাগরীককে নিজ দেশে ফিরিয়ে পাঠানো হয়।
বিজিবির এই কঠোর অভিযানের ফলে সীমান্তের নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়েছে এবং অবৈধ প্রবেশ ও চোরাচালানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

