ছেলেদের ফুটবল দলের পরিস্থিতি এখন নারী ফুটবল দলেও প্রভাব ফেলেছে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউরোপের ফুটবল সৌন্দর্য ও শক্তি অনুভব করতে নেমেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ম্যাচে শেষ সময়ের গোল খেয়ে তারা আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের প্রথমার্ধে শুরুতেই আজারবাইজানের নাম্বার নাইন ও দলের অধিনায়ক জাফরজাদা গোল করে স্বাগতিক বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন। তার এই গোলটি শারীরিক ফুটবলের দক্ষতা ও ফিটনেসের পরিচয় দেয়, যা ১৯ মিনিটে করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশ সামান্য ফিরে আসে।
১৯ মিনিটে বাংলাদেশের শক্তিশালী মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দা দূর থেকে শট নিয়ে গোল করে বাংলাদেশকে সমতা ফেরাতে সাহায্য করেন। এটি ছিল মারিয়ার দুর্দান্ত ঝোঁকের শট, যা আজারবাইজানের গোলরক্ষক পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন, কিন্তু মার্কার থেকে জোরের সঙ্গে পাঠানো তার শট জালে ঢুকে যায়। প্রথমার্ধের শেষের দিকে বেশ কিছু আক্রমণ করলেও ক্ষণিকের জন্য সমতা বজায় থাকে।
অতিরিক্ত গতিময় ইউরোপীয় ফুটবল ও শারীরিক দক্ষতার কাছে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে তারা রক্ষণভাগে মনোযোগ দিতে শুরু করে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী গোলের জন্য অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল একটি মূল্যবান গোল খায়। আজারবাইজান তারকা ইশা গোল করে সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে জাল ভেঙে দেয় বাংলাদেশকে। এরপর সময় শেষ হতে না হতেই তারা জয় পরাজয়ের রঙ মেখে মাঠ ত্যাগ করে।
এই হারের পরও ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও বাংলাদেশের উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ দল গড়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দেখবেন বলে আশা বাঙালিদের।
আজকের খবরে, এমকে

