আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শেষ হতেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। এই ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিজের finais হলেও, এর প্রভাব পড়ে গিয়েছিল প্রথম থেকেই। শেষমেশ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তাদের ৩৮ বল বাঁচিয়ে জয় লাভ করে, আর ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় লিটন দাসের দল।
এই জয়ে বাংলাদেশের জন্য সুখের খবর হলো, তারা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতে শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের আর কোনও আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই।
মূল লক্ষ্য ছিল ১১৮ রানের, যেখানে শুরুটা বেশ চমৎকার ছিল। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান দুর্দান্ত শুরু করেন। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাইফ আউট হন, তবে তিনি দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করেন। অন্যদিকে, লিটন দাস, যিনি এর আগে ফিফটি করেছিলেন, আজ ৫৭ রানের পরিবর্তে মাত্র ৭ রানে আউট হন, কিন্তু দলের জয় কোনওভাবেই আটকে যায়নি।
মূল নেতৃত্ব দিয়ে দলের সূচনাটা সুন্দর হয়েছিল তানজিদ তামিমের; তিনি ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি তুলে নিয়ে ৫৫ রান করেন, যেখানে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে তিনি ইনিংস সাজিয়ে যান। এছাড়াও, পারভেজ হোসেন ইমন চতুর্থ স্থান থেকে অপরাজিত ৩৩ রান করেন, যেখানে তিনি ৩ ছক্কা ও ১ চারের মারে দারুণ ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তারকারা। বিশেষ করে রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান, যারা নিজেদের সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। এই দুজনের দারুণ বলের কারণে আয়ারল্যান্ড মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের Highest scorer ছিলেন অধিনায়ক পল স্টার্লিং, যিনি একবার জীবন পেয়েও ৩৮ রান করেন।
অবশেষে, বাংলাদেশ এই সহজ জয় নিশ্চিত করে, যা তাদের তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে এবং আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজকের খবর / বিএস

