ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় মা লায়লা আফরোজ (৪৮) এবং তার কন্যা নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা গেছে। তদন্তপ্রক্রিয়ায় জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল চুরি। চুরির চেষ্টা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আয়েশা নরসিংদীর সলিমগঞ্জের রবিউল ইসলামের মেয়ে। তিনি ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর পূর্বহাটিতে স্বামী রাব্বী সিকদারসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের দিন শুক্রবার সকালে দুপুরের আগেই তিনি বাসায় এসে কাজ শুরু করেন। ওই দিন সকালে, সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশা কাজের জন্য বাসায় প্রবেশ করেন, আর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে কন্যা নাফিসা স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় বাসা থেকে পালিয়ে যায়। নাফিসা তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে যায়।
পরিবারের একজন বাসিন্দা, স্কুল শিক্ষক আ.জ. ম. আজিজুল ইসলাম, জানান, তিনি সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। দুপুরে বাসায় ফিরে দেখেন, স্ত্রী ও মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, স্ত্রীর মৃতদেহও বাসায় পাওয়া যায়।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে একাধিক টিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহারে তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলমান। এই ভয়ংকর ঘটনায় পুরো তদন্তের ফলাফলের জন্য পুলিশ অব্যাহতভাবে কাজ করছে।

