বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের উন্নতি ও দেশের সকল পর্যায়ের স্বার্থে কোনও মূল্যে আগামীতে নির্বাচন সম্পন্ন হতে হবে। তিনি এই মন্তব্য করেছেন শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে।
তারেক রহমান বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। যদি আমরা দেশের কল্যাণে একত্রে কাজ করতে চাই, তাহলে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনিবার্য। যদি এই নির্বাচন না হয়, দেশটি বিপদে পড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হলে অবশ্যই নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বন্ধুর ওপর যে হামলা হলো, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। হামলার ঘটনায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন, তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। এই ঘটনার পেছনে কারো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এছাড়া, তিনি চট্টগ্রামে দলের এক নেতা ওপর Recent হামলার ঘটনাও তুলে ধরেন এবং বলেন, কেউ হয়তো এই ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।
অতীতের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগে আওয়ামী স্বৈরশাসকরা দেশের অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই সেরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব না। বরং, আমরা দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনবো, কল্যাণ সাধন করব। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি আশ্বাস দেন, যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা এই পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন করবে।
তারেক রহমান দলীয় কর্মীদের কাছে আহবান জানান, জনগণের কাছাকাছি থাকতে হবে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের একা বসে থাকলে চলবে না, দায়িত্ব নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সবশেষে, তিনি বলেন, বিএনপির প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর এখন প্রধান দায়িত্ব হলো পরিকল্পনাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। শুধুমাত্র দোরগোড়ায় পৌঁছালে চলবে না, সেগুলো বাস্তবায়ন করাও জরুরি। এর মাধ্যমে দেশের উন্নতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

