ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন। তার এই দাবির মূল বিষয় হলো, ভারতের গῖনহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ার প্রতিবাদে এবং এর নিন্দা জানাতে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ ব্যাপারে ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। তার দাবি অনুযায়ী, প্রথমত, ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনার অন্যতম জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি, কালচারাল ফ্যাসিস্ট হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সামাজিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
দ্বিতীয়ত, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কঠোর অভিযান চালানোর দাবি করেন সাদিক কায়েম। আর তৃতীয়ত, গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের আশ্রয়দাতা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা ও হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, এই দাবিগুলি মানা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করা হবে।
এছাড়াও, তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে ও বাংলাদেশের স্বাধীকারের জন্য যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ হিসেবে প্রথম ও অপরিহার্য হিসেবে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে দেওয়া রায় কার্যকর করার দাবি তোলেন।
সাদিক কায়েম উল্লেখ করেন, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণে জড়িত হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আওতায় আনা জরুরি। যারা এই হামলার পেছনে গাফিলতি করেছেন, তাদের কঠোর বিচার করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, যারা এই হামলাকে সমর্থন দিয়েছে ও কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব পদক্ষেপ অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার বিকাল ৩টায় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মাধ্যমে তিনি তার ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর কার্যক্রমের প্রস্তুতি শুরু করেন।
আজকের খবর/বিএস

