শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় চরম নিন্দা জানিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের ডাক। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এ কর্মসূচির বিবরণ দেন। তিনি জানান, আগামী সোমবার শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। বিকল্পভাবে, এই সমাবেশ ফ্যাসিবাদবিরোধী ও দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোর মিলিত প্রচেষ্টার এক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতপন্থী দলের সদস্যরা এই কার্যক্রমে অংশ নেবে না বলে স্পষ্ট করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে বিশেষভাবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়েছে। এর জন্য মঞ্চের কর্মী ও হাদির পরিবারের মূলত অর্ধকোটি টাকা ধার করেছে, যা তারা এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। চিকিৎসকদের মতে, প্রয়োজন হলে দেশ বা পরিবার চাইলে তাকে দ্রুত বিদেশে নেয়া সম্ভব।
অভিযোগ করে জাবের বলেন, হাদি দীর্ঘদিন ধরে হত্যাহুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং এ বিষয়েও তিনি জিডি করেছেন। হামলার পর থেকে সন্দেহভাজনদের উদ্ধার ও শনাক্তকরণের দায়িত্ব এখনও ইনকিলাব মঞ্চের নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন হয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এই সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে অংশ নেবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এছাড়া, শনিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে এই হামলার প্রতিবাদে সভার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে, যেখানে তিনি গণতান্ত্রিক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকা আমাদের দেশের জন্য জরুরি। এ ঘটনায় সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।

