ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করলেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। এ ঘটনা ঘটে সেই পরিপ্রেক্ষিতে, যখন সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে সমপরিমাণ বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এগুলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে যে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।
প্রতিবেশী দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো হয়, কারণ বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যক্তির কাছ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে অশোভন ভাষা ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের পাকস্থলীতে সক্রিয় একটি চরমপন্থি দলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি এক সমাবেশে সতর্ক করে দেন যে, বাংলাদেশের কিছু শক্তি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ ও ‘ভারতবিরোধী’ হয়ে উঠতে পারে, এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরগুলোকে, যেগুলো প্রায়শই ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত, বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে তার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটে, যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
বিশ্লেষকদের মধ্যে মনে হচ্ছে, এই পরিস্থিতি দেশের আসন্ন পартির নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার সময় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে, যা স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। এই সব ঘটনা বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্কের জন্য চ্যালেঞ্জের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

