১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, বাংলার মানুষের অকুতোভয় বিজয়ের মূল ইতিহাসের উত্থান ঘটে এই দিনে। পাকিস্তানি চাপানউতোরের বিরুদ্ধে বাংলার সন্তানদের রক্তঝরা লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন approximately ৩০ লক্ষ সন্তান, আর মা-বোনেরা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে দিয়ে গেছেন তাদের সম্মান ও সন্মান। এই বিজয় বাংলা স্বাধীনতার চূড়ান্ত প্রতীক হিসেবে আজও গৌরবের সাথে উদযাপিত হয়।
পিরোজপুরে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ এর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬.৩০ ঘটিকায় শহরের বলেশ্বর ঘাটে অবস্থিত শহীদ বেদীতে ৩১ বার তোপধ্বনি দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে অংশ নেন জেলা পুলিশ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা প্রেস ক্লাব, এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা, যারা সবাই শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ। এরপর জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত কুচকাওয়াজের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে জেলা পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, কারারক্ষী, এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এ সময় শিশুদের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও ডিসপ্লে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়।
পরে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমদ সিদ্দিকী। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম ও আলোচনাসভার আয়োজন হয়। বাংলার স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের স্মরণ করে এই দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হয়। এটি আমাদের নিজেদের অহংকারের দিন, সাহসের প্রতীক ও প্রেরণার উৎস।

