সরকারি সূত্র ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংসদ নির্বাচনের নির্ঝঞ্ঝাট ও সুষ্ঠু পরিচালনাকে আরও নিশ্চিত করতে দেশের সব ধরনের রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচন চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, নির্বাচনি মালামাল, এবং যন্ত্রপাতি নির্ভরযোগ্যভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি অফিসের কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাই এসব অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্সের মোতায়েনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গত ১১ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর, এরপর ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, ২০২৬ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে।
প্রার্থীদের আপিলের শেষ সময় ১১ জানুয়ারি, ২০২৬ নির্ধারিত এবং ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি, ২০২৬ পর্যন্ত আপিলের নিষ্পত্তি সম্পন্ন হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার শেষ দিন হলো ২০ জানুয়ারি, ২০২৬। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে ৭:৩০ পর্যন্ত। ভোটগ্রহণের দিন হলো ১২ ফেব্রুয়ারি।
আজকালের খবর

