বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল, এর জন্য সাধারণত চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এর কম সময়ের মধ্যে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব নয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।
পাচার হওয়া টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনার অগ্রগতি জানতে চাইলে গভর্নর জানান, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং সরকার এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তবে, মামলার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে কোনো আশাবাদ ব্যক্ত করতে তিনি মত প্রকাশ করেননি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিদেশ থেকে অর্থ আনতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ বছর, এর কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
গভর্নর আরও বলেন, আমরা যদি লন্ডন থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলার সমাধান পেয়ে যাই, তাহলে সেটা খুবই ভাগ্যের বিষয়। কারণ, এই মামলাটিতে তারা লড়াই করেনি। ফলে, পরিস্থিতি নিজস্ব স্বাভাবিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তারা ইতোমধ্যে মামলাটিতে হেরে গেছে। অন্যান্য মামলার অবস্থা অনির্ধারিত থাকলেও, এগুলোর নিষ্পত্তি বেধে আছে দায়ের হওয়ার পর্যায়ে এবং দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার থাকেও না।
অপর একটি প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, এস আলম গ্রুপের ক্ষেত্রে পশ্চিমে ওয়াশিংটনে তাদের আরবিট্রেশন ফাইল ইউটিলাইজেশন করছেন। তিনি স্পষ্ট করেন, চোরের বড় গলা থাকে। তিনি জানায়, আমরা মামলাগুলো লড়ব এবং এগুলি নিষ্পত্তির জন্য আমরা সক্রিয় রয়েছি।
এ খবরটি লিখেছেন আজকের খবর/বিএস।

