অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সকল নাগরিককে কঠোরভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষ করে বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতাগুলোর বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় ও সংশয়হীন অবস্থান নেওয়ার জন্য। সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়, সহিংসতা, ভীতি সৃষ্টি, অগ্নিসংযোগ এবং সম্পদ ধ্বংসের সকল কার্যক্রম কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে।
সরকারের বিবৃতিতে জানানো হয়, এই সংকটপূর্ণ সময় অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অমূল্য গণতান্ত্রিক রূপান্তর চলছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং শান্তির পথে বাধা দেয়, তারা এই অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
আরও বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি গুরুতর জাতীয় অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকারের সঙ্গে রয়েছে সেই স্বপ্নের সংগ্রাম, যার জন্য শহীদ শরিফ ওসমান হাদি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের আত্মত্যাগ ও স্মৃতিকে সম্মান জানাতে হলে সাবধানতা, দায়িত্ববোধ এবং ঘৃণাকে পরিহার করার অঙ্গীকার জরুরি।
একই সঙ্গে, আমরা দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজের সাংবাদিকদের প্রতি বলতে চাই—আপনাদের পাশে আমরা আছি। আপনাদের সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হওয়ায় আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনারা যে সাহস এবং ধৈর্য দেখাচ্ছেন, তা পুরো জাতির জন্য অনুপ্রেরণামূলক। সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে সত্যের ওপর আঘাত, এবং আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার ও সুবিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনাও আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই। এই ধরনের সহিংসতা বাংলাদেশে স্থান পেতে পারে না, এবং এই নৃশংস অপরাধে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এই সংকটের মুহূর্তে সকল নাগরিকের প্রতি আমাদের আহ্বান—সহিংসতা, উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান ও মোকাবেলা করে শহীদ হাদির স্বপ্ন ও আদর্শকে সম্মান করুন। সহিংসতা এবং অশান্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

