জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে এই মৃত্যুতে গভীর শোক ও প্রতিবাদ জানিয়ে জানান, এই ঘটনার জন্য সরকারের দায়িত্বই চূড়ান্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতিটি দায়িত্ব বর্তমান সরকারের উপর। জাতি যখন শহীদ হাদির জন্য দোয়া করছে, সেই সময় ডেইলি স্টার, প্রথম আলো সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সাংবাদিকদের উপর অপ্রত্যাশিত হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা সমাজে গভীর আঘাত হেনেছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনাগুলো দেশের সংকটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর অপচেষ্টার অংশ। যারা এই অপপ্রয়াসে জড়িত, তারা জাতির শত্রু এবং দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে। তিনি হাদির মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচার এবং সব ধরনের মব সন্ত্রাসের শাস্তি দাবি করেন। বৈকালীন এই সময়ে, দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিভিন্ন সন্ত্রাসের কারণে সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হাদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গণতান্ত্রিক পথেই বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার ও স্থিতিশীল সমাজ গড়ে উঠবে। তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোরভাবে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার আহ্বান জানান, যেন অচিরেই এই অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠা যায়। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে শরিফ ওসমান হাদির উপর আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। গুলি তার মাথায় লেগে বেশ কিছু দিন ঢাকা ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলার পর বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান। এই মৃত্যু ঢাকাসহ সারাদেশে উত্তেজনা ও শোকের প্রহর বাড়িয়ে দিয়েছে।

