উত্তর Bangla অঞ্চলের পঞ্চগড় জেলায় হিমেল বাতাস ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই জনপদে দিন দিন পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠছে, কারণ তাপমাত্রা আবারও কমে দাঁড়িয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শনিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাসের প্রভাবে হাড় কাঁপানো শীত পড়ে গেছে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিমে থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ পড়েছেন ব্যাপক বিপাকের মধ্যে। ধীর গতি চলাচল করছে বিভিন্ন সড়কে, বিশেষ করে যানবাহনের জন্য বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে; অনেক যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এই কুয়াশাময় পরিবেশের কারণে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, তবে জীবিকার তাগিদে সকাল থেকে মানুষ রীতিমতো বের হচ্ছেন।
শহর ও গ্রামে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষরা কাঁপতে কাঁপতে হাঁটছেন। ঘন কুয়াশার প্রভাবে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনের গতি কমে গেছে, যার ফলে যানজটের অভিযোগও আছে।
বিকেলের দিকে কিছুটা রোদ উঠলেও কুয়াশার দাপটে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়নি। ফলে, তীব্র শীতের পরিবেশে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। ছিন্নমূল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষরা এই শীতের প্রকোপে অস্থির, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক বেশি কষ্টে পড়েছেন। শীতের কারণে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগের সমস্যা বাড়ছে।
উত্তর হিমালয় থেকে আসা হিমশীতল বাতাস এবং কুয়াশার চাদর এই অঞ্চলের মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সূর্য্য মাঝে মধ্যে দেখা মিললেও, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এখনও সম্ভব হয়নি। সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র ও বড় সবাই কষ্টে আছেন, আর এই শীতের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য প্রত্যাশা করছেন দ্রুত উষ্ণতা ফিরে আসার।

