বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনতে সাধারণত এক থেকে দুই বছর সময় লাগে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এ ধরনের অর্থ ফেরত আনার জন্য কমপক্ষে এ সময়ের দরকার হয় এবং এরচেয়ে কম সময়ে তা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
গভর্নর প্রকাশ করেন, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনতে অগ্রগতি হচ্ছে এবং সরকার বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তবে, মামলার প্রক্রিয়া এবং অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি জটিল হওয়ায় তা সময় অনেক বেশি নিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
অর্থনীতির এই গুরুতর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিদেশ থেকে অর্থ ফেরত আনার জন্য সাধারণত এক থেকে দুই বছর সময় প্রয়োজন এবং এ সময়ের বাইরে এটি সম্ভব নয়।
ড. আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, লন্ডন থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলার সমাধান হলে তিনি খুব খুশি হবেন কারণ, মামলাটি তারা লড়েনি, ফলে আত্মবিশ্বাসে আছে তারা হারবে। অন্যসব মামলার বিষয়গুলো এখন আবেদনের ওপর নির্ভর করছে এবং এগুলোর সমাধান দীর্ঘ সময় লাগবে, এখন আমাদের কোনো করার কিছু নেই।
অর্থনৈতিক বিষয়ে আরও এক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে একটি আরবিট্রেশন ফাইল মিউটেশন হয়েছে। তিনি জানান, চোরের বড় গলা থাকলেও, তারা এই মামলাটি লড়ে যাবে।

