সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করে এমন কোনো উস্কানি বা হুঁশিয়ারি দেবে না। তিনি emphasize করেছেন, দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং বিশৃঙ্খলা করে কেউও শহীদ ওসমান হাদির আদর্শের ধারক হতে পারে না। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির নাম নিয়ে যেসব অপপ্রচলন ও সহিংসতা চালানো হচ্ছে, সেই সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্রকারীর উস্কানি, গুজব ও হুঁশিয়ারির কোনভাবেই সমর্থন করা যাবে না, কারণ এর মাধ্যমে দেশের ও জনগণের ক্ষতি হয়।
শনিবার তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, ওসমান হাদি বারবার বলতেন—‘আমি আমার শত্রুর সঙ্গেও ইনসাফ করতে চাই।’ এই কথাই প্রমাণ করে তিনি মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ওপর গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু অল্প কিছু অদৃশ্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, ওসমান হাদির এই আদর্শের বিরুদ্ধেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
কনকচাঁপা আরও লিখেছেন, ওসমান হাদি কখনোই স্বপ্রণোদিত হয়ে সংগঠিত বা সহিংসতার ডাক দেননি, বরং তিনি ভালো সংস্কৃতি তৈরি ও প্রচারের জন্য কাজ করতে উৎসাহ দিতেন। যারা এই সাংস্কৃতিক পরিবেশে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ ও দেশপ্রেমিক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এছাড়াও, তিনি ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু দাস নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বীর খুনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ধর্ম অবমাননার নামে কেউ যদি অপরাধ করে থাকেন, তবে তাকে আইনের আওতায় আনাই সঠিক। কোনোভাবে মানুষকে নিজ হাতে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা বা নৃশংসতা সমর্থনযোগ্য নয়। মানুষকে বিষয়ে বিচার ও আইনি প্রক্রিয়ায় দণ্ড দেওয়া উচিত, নেটওয়ার্কের বাইরে নয়।
সবশেষে, তিনি দেশের সব ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের কাছে বিনম্র অনুরোধ জানিয়েছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি রক্ষায় সকলকেই সচেতন ও সহযোগিতা করতে। তিনি সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপর জোর দিয়েছেন এবং দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

