জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যেসব আসনে আমাদের নেতৃস্থানীয় সমঝোতা হয়েছে, সেখানে বিএনপি প্রার্থী দেবে না। একইসঙ্গে সারাদেশের অন্যান্য আসনে জমিয়তের পক্ষ থেকেও কোনো প্রার্থী থাকছে না। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জমিয়তের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার ভিত্তিতে চারটি আসনে বিএনপি কোনও প্রার্থী দেবে না। এই চার আসনে জমিয়ত প্রার্থীরা হলেন: নীলফামারী-১ আসনে মো. মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনির হোসাইন কাসেমী, সিলেট-৫ আসনে মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জুনায়েদ আল হাবীব।
মির্জা ফখরুল আরো জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই চারটি আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। যদি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, দলের পক্ষ থেকে তা নোটিশ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিএনপি দেশের ২৭২টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, আর বাকী ২৮ আসনের মধ্যে ৪টিতে জমিয়তের সঙ্গে সমঝোতা হয়।
তিনি বলেন, ‘‘আজকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ ভবিষ্যতের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশ নেবে। আমরা তাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি, আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে, এই উদ্যোগ সফল হোক।” তিনি উল্লেখ করেন, জমিয়ত নির্বাচনে তাদের প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ মার্কায় ভোট akan।
বিএনপি নেতা এবার নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানান, তারা যেন এই সমঝোতাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের ‘খেজুর গাছ’ মার্কায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান, যাতে ধানের শীষ আরও শক্তিশালী হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জমিয়তের আমির মাওলানা মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মাওলানা মো. মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, মাওলানা আল হাবীব, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, মাওলানা শেখ মজিবুর রহমান, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাজহারীসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।

