ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যে দিয়ে ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। এর অংশ হিসেবে দলটি আরো আটটি আসন ছেড়ে দিয়েছে। বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দীর্ঘ আলোচনার পর বিভিন্ন উপ-দলের সঙ্গে তাঁরা যে আসনগুলোতে সমঝোতা করেছেন, সেগুলোই তারা ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন। এই সমঝোতায় যুক্ত হয়েছে নাগরিক ঐক্য, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), ইসলামী ঐক্যে জোট, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এনপিপি ও গণঅধিকার পরিষদ। তারা নিজেরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। বিএনপি থেকে নির্ধারিত আসনগুলো হলো: বগুড়া-২ (নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না), পিরোজপুর-১ (জাতীয় পার্টি- কাজী জাফর), নড়াইল-২ (এনপিপি অধ্যক্ষ ফরিদুজ্জামান ফরহাদ), যশোর-৫ (ইসলামী ঐক্যে জোটের মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস), পটুয়াখালীর-৩ (গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর), ঝিনাইদহ-৪ (গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান), ঢাকা-১২ (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ सাকি)। ফখরুল বলেন, এই তালিকার বাইরে আলোচনা চলবে এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর বাইরে কুমিল্লা-৭ আসনে এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ এবং ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকেও আসন দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়ে বলেন, রেদোয়ান আজ যোগ দিয়েছেন এবং ববি শিগগিরই বিএনপিতে যোগ দেবেন। নির্বাচনি সমঝোতা করা দলগুলো নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করবে, আর যারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। এর আগে মঙ্গলবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ আসনে সমঝোতা করে বিএনপি। এভাবেই শরিকদের জন্য এতদিনে মোট ১২টি আসন ছাড়তে সক্ষম হয়েছে দলটি। এছাড়াও বিএনপি দলীয়ভাবে দু’ধাপে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। রেদোয়ান ও ববির আসনগুলোকে মানলে মোট ২৭৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হল, যেখানে আরও ১৪ আসনের বিষয়টি এখনও ফয়সালা বাকি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

