ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে ভারতের পক্ষ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দাবি তুলে ধরেছে। এ সময় তারা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।
সূত্রের তথ্যে, শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে অভিযোগ উঠছে, যা নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বিস্তারিত ও নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকায় ভারতের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়, যা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবকে আরও জোরদার করে।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শিলিগুড়িতে হওয়া হামলা, ভাঙচুর এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে আবারও তলব করা হয়েছিল, তখন ভারতের ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উত্থাপন হয়, যার জন্য ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
অপর দিকে, ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ভারতের তরফে বাংলাদেশের পরিস্থিতি, হামলা-ভাঙচুরের বিষয় এবং বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তার দাবি তুলে ধরা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই তলবের ঘটনা আরও স্পষ্ট করে দেয় যে, বাংলাদেশের সাথে ভারতের রাজনৈতিক ও দূতাবাস সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীর উদ্বেগ এবং সমঝোতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

