বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে যাতে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং দেশপ্রেমিক গতির তৈরি হয়। এছাড়া, তারা অঙ্গীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
পাঁচজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের এক চিঠিতে বলা হয়, nacionais সংকটের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়াকে তারা স্বীকৃতি জানালেও, একটি বড় রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রাখা মানবাধিকারের মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা আশাবাদ প্রকাশ করেন, বর্তমান বা ভবিষ্যত সরকার এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতি আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসেছে, যেখানে দেশের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চাপ বাড়ছে। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নানা দিককে আরও জটিল করে তুলছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানৱতাবিরোধী অপরাধের জন্য মামলায় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ও হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।
নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর, তারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা বলেন, সবাইকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া ছাড়া দেশের ভবিষ্যত্ব উন্নয়ন অসম্ভব। এজন্য সরকারের উচিত হবে অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা।
চিঠিতে বলা হয়, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশ, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পায়। অবাধ ও উন্মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্বাচন করবে, যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বিশ্বস্ত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
সর্বশেষে, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং ওয়াশিংটন তার গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ধারাবাহিক অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

