বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন পত্রিকার কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের ওপার বাংলার শিল্পীরা। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা গভীর চিন্তাভাবনা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিঠুন চক্রবর্তী বাংলাদেশকে তার জন্য ‘অচেনা’ হয়ে গেছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তিনি খুবই ব্যথিত। তার জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, এইদেশের পরিস্থিতি যেন তার কাছে অচেনা হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেছিলেন, “এই বাংলাদেশকে আমি চিনতে চাই না, জানতে চাই না। আমার কোনো আগ্রহ নেই এখন। সব কিছুই শেষ হয়ে যায়, এই কথাই আমি বারবার মনে করি। উপরওয়ালা সব দেখছে, এই দেহে যে অসুবিধা হচ্ছে, তার জন্য সবাইকে দায় দিতে হবে।”
কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা দীপক অধিকারী এবং দেবের মতো তারকা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে একই রকম ভাবনা প্রকাশ করেছেন। অভিনেতা দেব বলেছেন, “যা চলছে সেটা একেবারেই কাম্য নয়। আমি চাই সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকুক। সব সময় ভালো থাকুক সবাই। পরিবারের জন্য একটা ছাদের নিচে থাকা, দুবেলার খাবার পাওয়া—এটাই মৌলিক চাহিদা। এর জন্য অন্য কাউকে মারতে হবে না। যদি এখনই এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ সময় আসবে বলে মনে হয়। সেই কারণে ভয়ও কাজ করে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো যেন সকলে ভালো থাকুক। সিনেমা চলুক বা না চলুক, আমরা যেন সুস্থ থাকি।”
অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কেমিকাল ইনকিলাব মঞ্চের তরুণ নেতা শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর সামনে এলে ১৮ ডিসেম্বর রাতে শাহবাগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই কিছু দল কারওয়ানবাজারে প্রথম আলো কার্যালয়, ডেইলি স্টার ভবন এবং ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বর উদীচীর কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এসব হামলার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানেও আতঙ্ক ও হতাশা প্রকাশ পাওয়া যাচ্ছে।

