ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারত। তারা আহ্বান জানিয়েছে, এই নিষ্ঠুর ওiencias হত্যাকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য। বার্তাসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানায়।
পিটিআই সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শহীদ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনা সরাসরি ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে—এমন অভিযোগ উঠায় ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে বিস্তারিত ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার পর ঢাকায় ভারতের দূতাবাসের সামনে ব্যাপক প্রতিবাদকার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব আরও জোরদার হয়েছে বলে পিটিআই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, ২৩ ডিসেম্বর, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে তারা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শিলিগুড়ি ও নয়াদিল্লির বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে, বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।
এছাড়া, এর আগেও ১৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভারতের কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ করতে ভারতীয় সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
অতঃপর, ১৭ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এরপর, এক সপ্তাহের মধ্যে গত বুধবার আবারো তাঁকে তলব করা হয়। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ও বিষয়টির গুরুত্বকে বিবেচনায় রেখে তদন্ত ও সমঝোতার চাপ বাড়ছে।

