বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর শুরু হচ্ছে আজ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। পরে সন্ধ্যায় অন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেস মাঠে নামে চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে।
সিলেটজুড়ে এই ম্যাচের উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর প্রথমবারের মতো এই স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা বেশ উচ্ছ্বসিত। দর্শক ও দর্শনার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মাঠে গিয়ে উপভোগ করছেন এই বড় ঘটনা।
প্রথমে, বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ার গ্যালারি ও প্রেসবক্স পরিষ্কার করা হয়, যেখানে উইকেট ও আউটফিল্ডের আধুনিক সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর উদ্যোগে এবং লাভ ক্রিকেট, ক্লিন সিলেট-এর সহায়তায় এই পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ পরিচালিত হয়।
সিলেটের বিভিন্ন ক্রীড়া একাডেমির খেলোয়াড় ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব উদ্যোগে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশ পরিষ্কার করেন। একজন শিক্ষার্থী জ্যোতি বলেন, সিলেট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যঘেরা একটি সুন্দর শহর। এই সুন্দর স্টেডিয়ামের পরিবেশ নোংরা থাকলে আসলেই তা হয় না। তাই আমরা মিলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক রাহাত শামস বলেছেন, সিলেটে আজ শুরু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসব, যা দেশের জন্য খুবই গর্বের বিষয়। পাশাপাশি, মাঠের সাথে সাথে সড়ক ও স্টেডিয়ামের পরিবেশটাকেও পরিচ্ছন্ন রাখতে সরকারের পাশাপাশি এই ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে মাঠ ও শহরের পরিবেশকে সুসজ্জিত ও সুন্দর রাখতে কাজ করবেন সবাই।
অপরদিকে, কালোবাজারি রোধে এবার সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে ১০০ শতাংশ। বিসিবি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। সিলেটে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিরাপত্তা ও আয়োজনের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা দলের একজন কর্মকর্তা আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, উদ্বোধনী দিন সীমিত আকারে আয়োজন করা হবে এবং সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

