কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ভয়ংকর আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০-২৫টি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লেদা ও আলীখালীর ২৪-২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটে। এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজারের লেদা ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাম্পের এক বাসিন্দা ফাতেমার ঘর থেকে ফোনে চার্জে আগুন ধরেছিল। ওই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। তিনি বলছেন, এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না এলেও, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক বাসিন্দা সৈয়দ আলম জানিয়েছেন, অন্ধকারে হঠাৎ করে তার শিবিরে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে, তবে পুড়ে গেছে ২৫ থেকে ৩০টির বেশি ঘর। এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি।
নুর আকম মো. আলম বলেন, তাদের ক্যাম্পের একটি ঝুপড়ির ঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন, কিন্তু অগ্নির তীব্রতা ভয়াবহ। কিভাবে আগুন লাগল, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত এপিবিএন অধিনায়ক মুহাম্মদ কাউছার সিকদার জানিয়েছেন, আলীখালী ও লেদা ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছেন। পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার করে পরবর্তী সময় বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রশাসন ও আর্মড পুলিশ বিভাগের দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি কমানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এখনো পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও, সাধারণ পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত হচ্ছেন যে দ্রুত এই ঘটনা সামলে নেওয়া সম্ভব হবে।

