এখন থেকে পাঁচ/সাত বছর পূর্বে, আমি সরকারি নীতিমালার আওতায় স্বীকৃত একজন সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি পূর্ণ তিন বছর মেয়াদ। কিন্তু সংবাদ জগত তথা মিডিয়া জগতের সঙ্গে পরিচয় এবং ওঠা-বসা শুরু ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসের পরপরই। কিন্তু জীবনের পড়ন্ত বেলায় সম্পাদকীয় লিখবো এমন কল্পনা কিছুদিন পূর্বেও করিনি। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার নিমিত্তে যেমন, রাজনীতির স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, ৭০ মাস পূর্বে তেমনই জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির নিমিত্তে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সম্পাদকীয় লেখার মতো দূরূহ কাজ করার জন্য সাহস করলাম আজ। এই পোর্টালটির নাম পোর্টাল বাংলাদেশ.কম। সাদামাটাভাবে এর মর্মটি এমন হতে পারে যে, বাংলাদেশের জন্য ভালো সংবাদ পরিবেশন করার একটি সাহসী উদ্যোগ। আশা করি এই অনলাইন নিউজ পোর্টালের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলেই ঐ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজেদের জ্ঞান, সময় ও ধৈর্য বিনিয়োগ করবেন। এই কামনা করেই পরের অনুচ্ছেদটি লিখছি।
আজ শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০১৩। সাত দিন পর হবে ২৫ অক্টোবর ২০১৩। এখন পর্যন্ত জানা, রাজনৈতিক অঙ্গনের কর্মকাণ্ডের শিডিউল মোতাবেক ২৫ অক্টোবর তারিখে ঢাকা মহানগরের দুইটি নিকটবর্তী কিন্তু ভিন্ন স্থানে দুইটি বিশাল জনসভা বা মহাসমাবেশ হবে। একটি ক্ষমতাসীন মহাজোট কর্তৃক আয়োজিত এবং আরেকটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট কর্তৃক আয়োজিত। গত কয়েক মাস মানুষ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। সকলেরই মনে প্রশ্ন ২৫ অক্টোবরের পর কী হবে? এই নিউজ পোর্টাল মানুষের মনের প্রশ্নের উত্তর নিখুঁতভাবে দিতে পারবে না, ইশারা-ইঙ্গিত-লক্ষণসমূহ তুলে ধরতে পারবে। তবে লক্ষ কোটি বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে এই নিউজ পোর্টালও চায় প্রতিটি সূর্যদ্বয় যেন বাংলাদেশের জন্য শান্তির আলোকরশ্মি আনে। জনগণ যে উৎকণ্ঠিত ও আতংকিত, এই কথাটি যেন দেশের সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝতে পারে সেই প্রার্থনা করছি।
সকলেই বলছেন, দুই নেত্রী ইচ্ছা করলে দেশে শান্তি আসবে। আমি আংশিকভাবে দ্বিমত পোষণ করছি। দুই নেত্রীকে একই দাঁড়িপাল্লার দুই পাশের দুইটি পাত্রে স্থিত করাটি রাজনৈতিক ভুল। বিস্তারিত আলোচনা না করেও এটা বলা যায় যে, একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দায়ী হচ্ছে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যেটা দুই বছর চার মাস আগে আনা হয়েছিল এবং এর পেছনে উদ্যাম এবং উদ্যোগ ছিল বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। বর্তমান মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর কোনো অবদান নেই, এই মুহূর্তের রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টিতে। তাই আমাদের আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নমনীয় হবেন এবং স্বীকার করবেন যে একটি সংকট বিরাজমান। এই স্বীকৃতি তাঁকে দিক নির্দেশনা দিবে এবং উৎসাহিত করবে সংকট নিরসনে সাহসী গঠনমূলক ভূমিকা নিতে। সংকট নিরসনে আমরা সকলের ইতিবাচক ভূমিকার অপেক্ষায় থাকলাম।