খোরশেদ আলম শিমুল, চট্টগ্রাম
হাটহাজারী, উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ত্রে হালদা নদীকে এবারই প্রথম পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞানের প্রথম পত্রে এটি সংযোজন করা হয়। প্রফেসর গাজী এস এম আজমল ও প্রফেসর ড. সফিউর রহমান-এর রচনায় এ বইয়ের সম্পাদনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী এস এম আসমত। চলতি শিাবর্ষে সংযোজিত বইটি, গত ৩০ জুন গাজী পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়। জাতীয় শিাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বইটির ‘জীববৈচিত্র সংরণ পদ্ধতি’ বিষয়ের ২৯২ পৃষ্ঠায় ‘হালদা নদী’ নাম দিয়ে নদীর অবস্থান, আয়তন, উৎপত্তি, গুরুত্ব, সংরণসহ নানা বিষয়ে সবিস্তারে তুলে ধরা হয়।
এদিকে, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ত্রে হালদা নদীকে পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করায় জাতীয় শিাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হালদা নদী রা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী। তাঁরা বলেন, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যেখানে রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এ নদী পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করায় শিার্থীরা এখন থেকে নদীর গুরুত্ব সহজভাবে জানার পাশাপাশি নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরণে আরো সচেতন হয়ে উঠবে। তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে এ নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
হালদা নদী আসাম ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ ও আরাকানের নিকট সুপরিচিত। প্রাচীনকালে মাছের পোনার ব্যবসার প্রধান কেন্দ্রস্বরূপ। এক কালে এত প্রসিদ্ধ লাভ করেছিল যে, পদ্মার ইলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিষ্টি ও দিনাজপুরের নাম করা চাউলকেও হার মানাত। হালদা নদীর মাছের পোনা না হলে কেউ ক্রয় করত না। আসামের আক্রোপ অঞ্চলে এই নদী মাছের পোনা বিক্রির জন্য নেয়া হতো। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী এলাকার লোকদের নিকট হালদা নদীর মাছের পোনার খ্যাতি রয়েছে। এই হালদাতে একমাত্র জোয়ার ভাটা হয়ে থাকে। মগ ফিরিঙ্গি কবি সাহিত্যিক সুলতান নশরত শাহের স্মৃতি বিচলিত আমলে ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দারে ঘাটের পশ্চিমে তৎকালিন সত্তার ঘাট দলই নগরকে হালদা ভাঙ্গনের হাত থেকে রা করার জন্য একটি নতুন খাল খনন করা হয়েছিল। বাড়িঘোনা ৭ মাইল হালদা ভরাট হয়ে চর জাগা আরম্ভ হয়। এই ৭ মাইল এলাকার নাম পুরাতন হালদা বলা হয়।
খোরশেদ আলম শিমুল
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
তারিখ-০৯/১০/২০১৩