নিজস্ব বার্তা প্রেরক, পোর্টাল বাংলাদেশ।
৩০ অক্টোবর ২০১৩ বুধবার ন্যাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপ আয়োজিত “দেশ ও কৃষকের স্বার্থ বিরোধী বিটি বেগুন”-শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুব্রত বারুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বিটি বেগুনের অনুমোদনকে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করে দেশের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী জানিয়ে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিটি বেগুন নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে আশঙ্কা প্রকাশ হয়েছে তার সুরাহা না করে বেগুনটি কৃষক পর্যায়ে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতি। ভারত ও ফিলিপাইন সরকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রশ্নে নিজদেশে এ বেগুনের ছাড়পত্র প্রদান করেন নাই। তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে ও সাধারণ কৃষক এবং জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে শুধু বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে তড়িঘড়ি করে সরকার এর ছাড়পত্র দিয়েছে।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্য বেনজির আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, নগর সভাপতি মোড়ল আমজাদ হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ সাধারন সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, কৃষক ন্যাপ যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফারুক হোসেন, মোঃ কামাল ভুইয়া, শরিফুল ইসলাম খান স্বপন, হাকীম ডাঃ মোঃ রিয়াজউদ্দিন, মল্লিক আবদুস সোবহান প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া: বিটি বেগুন আমদানির েেত্র সরকার নিজের আইনের বিরোধিতা করছে উল্লেখ করে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ২১ (১) ধারায় বলা আছে, এই আইনের অধীন এবং এর অধীন প্রণীত প্রবিধানমালার শর্তানুযায়ী সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বংশগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা খাদ্য উৎপাদন, বিতরণ, বিপণন বা আমদানি করতে পারবে না। এ থেকে স্পষ্ট, সরকার নিজেই আইনের বিরোধিতা করছে।’ তিনি বলেন, বেগুনের বীজ কৃষকদের সম্পদ। জাতীর বীজ হিসেবে বাংলাশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) সংরতি আছে। অর্থাৎ বারি এই বীজের মালিক নয়। কিন্তু কৃষকের এই বীজ বিকৃত করে আবার কৃষকের কাছেই বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ঘটনা কৃষকের সার্বভৌম অধিকার হরণের সামিল।
সব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে শুধু টেকনোলজি প্রশ্নই জড়িত নয়, প্রাণ সম্পদের ওপর দেশের জনগণের সার্বভৌম অধিকারের প্রশ্ন জড়িত। দেশের কৃষক নির্বাচনে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের ভূমিকা রাখে। অধিকার হরণ করার উদ্যোগ কৃষকরা মেনে নেবে না।
সভায় নেতৃবৃন্দ ফিলিপাইন ও ভারতীয় আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশে বিটি বেগুন ছাড়ের প্রক্রিয়া বন্ধ, বারির বিটি বেগুনের গবেষণা প্রতিবেদন জনসম্মুখে হাজির করা ও গবেষণার মান এবং ফলাফল প্রকাশ, বিটি বেগুনের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকির বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়, বেগুনের পোকা সমস্যার সমাধানের জন্য কীট গবেষণা জোরদার, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যাতে স্বাধীনভাবে গবেষণা করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় তহবিল গঠন এবং কৃষক ও ভোক্তাদের তি হয় এমন উদ্যোগ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।