প্রথমবারের মতো অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ‘ডুমসডে ওয়েপন’ বা ধ্বংসের অস্ত্র জনসমক্ষে নিয়ে এল রাশিয়া। কেএইচ-৪৭এম২ কিঞ্জাল (Kh-47M2 Kinzhal) নামের একটি হাইপারসনিক নিউক্লিয়ার মিসাইল প্রকাশ্যে এনেছে মস্কো। রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে ওই অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। গত মার্চেই এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কৌশলী অস্ত্রের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিনের প্যারেডে দুটি মিগ-৩১বিএম (MiG-31BM) ফাইটার জেটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল একটি করে কিঞ্ঝাল (Kinzhal) মিসাইল।
এটি একটি এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল। শব্দের গতির থেকে ১০ গুন বেশি গতিতে পৌঁছাতে পারে এই মিসাইল। অন্য যে কোনও অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমের পক্ষে এটি আটকানো বেশ কঠিন। এই মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। সমুদ্রের মাঝে থাকা টার্গেটেও আঘাত করতে পারবে এটি। এটির দৈর্ঘ্য আট মিটার ও প্রস্থ ১ মিটার। এতে ৪৮০ কেজির নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড থাকা সম্ভব।
২০১৮-র মার্চে মিগ-৩১বিএম (MiG-31BM) থেকে এই মিসাইল পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এদিকে, পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সমুদ্রের গভীরে চালাতে একটি ডুবন্ত নিউক্লিয়ার টর্পেডো তৈরি করছে রাশিয়া। যে খবর ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে এই টর্পেডো নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত আমেরিকা।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের তৈরি একটি রিপোর্টে অন্যান্য দেশের নতুন অস্ত্র ভাণ্ডার সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে রাশিয়া এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল, পরমাণু চালিত ও পরমাণু অস্ত্রবাহী, ডুবন্ত ও স্বয়ংক্রিয় টর্পেডো তৈরি করছে। সাধারণ ভাষায় এই ধরনের যুদ্ধযানকে ‘স্টেটাস-৬’ আখ্যা দেওয়া হয়। একে ‘ডুমস-ডে ওয়েপন’ বা ধ্বংসের অস্ত্রও বলে থাকেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।