মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত হচ্ছে ‘হিন্দু সোয়াভিমান’ হিসেবে পরিচিত একটি সংগঠন। ভারতের উত্তর প্রদেশের (ইউপি) পশ্চিমাঞ্চল ২০২০ সালের মধ্যে আইএস দখল করে নিতে পারে- এমন ধারণার ওপর ভিত্তি করে আইএস জঙ্গিদের প্রতিহত করতে ‘ধর্মসেনা’ হিসেবে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংগঠনটি। সংগঠনের নেতাদের সূত্র উল্লেখ করে বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নিজ ধর্মবিশ্বাসের অস্তিত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে ভারতীয় রাজধানী নগরী দিল্লির উপকণ্ঠের এলাকাগুলো থেকে উত্তরাখান্ডের সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার লোক ‘সৈনিক’ হিসেবে অংশ নিয়েছে।
পশ্চিম ইউপিতে সাম্প্রদায়িক কারণে স্পর্শকাতর এলাকাগুলো সপ্তাহব্যাপী চারটি প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শন করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি দল। গাজিয়াবাদ জেলার দাসনার একটি মন্দিরে সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এরকম অর্ধশতাধিক শিবিরে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়েদের আগ্নেয়াস্ত্র ও তলোয়ার চালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ‘শত্র“ আক্রমণ করলেই’ পাল্টা জবাব দিতে প্রকাশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বামহেতা ও রোরি এলাকা এবং মিরাটের একটি ও মুজাফফরনগর জেলার পাঁচটি এলাকাতেও প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়েছে। হিন্দু সোয়াভিমানের এক নেতা চেতনা শর্মা জানান, আট থেকে শুরু করে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। শিশুদের শুরুতেই আগ্নেয়াস্ত্র বা তলোয়ার ধরিয়ে দিচ্ছেন না তারা।
প্রথম ছয় মাস কেবল মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে তাদের। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতার বিভিন্ন বাণী শেখানো হচ্ছে। হিন্দুদের মৃত্যুর ভয় থাকা উচিত নয়, কারণ তাদের পুনর্জন্ম রয়েছে।