প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। যদিও এ আইন আদৌ সংসদে পাস হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ আইনে দুর্বৃত্ত ও গডফাদাররা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ আইন নিরাপদ সড়কের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ আইনের ফলে গণপরিবহনে নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরে আসবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রিজভী দাবি করেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর অবিরাম হামলা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর, সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগ সশস্ত্র অবস্থায় হামলা করেছে তা দেখে দেশের মানুষ হতভম্ব। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলায় ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে।
তিনি বলেন, গতকাল ওবায়দুল কাদের সাহেব সাংবাদিকদের বলেছেন সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেনি। সাংবাদিকদের রসিকতা করে বলেছেন কারা হামলা করেছে তালিকা দেন। আমি বিচার করবো। ওবায়দুল কাদের সাহেব সাংবাদিক ছিলেন বলেই আমি জানতাম, কিন্তু তিনি এখন গণমাধ্যমে চোখ রাখা ভুলে গেছেন বলেই এ ধরনের অন্ধ, অজ্ঞ ও অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন। মানুষ তার বক্তব্যকে কমিক এন্টারটেইনমেন্ট হিসেবে ধরে। ওবায়দুল কাদের সাহেব ছাত্রলীগের রামদা, পিস্তল, লোহার রড ও লাঠি দেখতে পান না। কিছু চতুষ্পদ প্রাণী আছে কালারব্লইন্ড, আর আওয়ামী সরকার হচ্ছে ক্ষমতাব্লাইন্ড।