বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ইচ্ছায় তাকে নির্বাচক কমিটিতে রাখা হয়েছিল। কোচ ও ম্যানেজারকে নির্বাচক দলে রাখায় তখন কম সমালোচনা হয়নি। হাথুরু চলে যাওয়ার পরও সেই নিয়ম বহাল। নতুন কোচ স্টিভ রোডসও থাকছেন নির্বাচকের ভূমিকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। দুপুরে হোটেল র্যাডিসনে কোচের সঙ্গে সভায় বসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও পরিচালকরা। সভা শেষে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতিতে একটা কমিটি থাকবে। যার প্রধান থাকবেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান। পাশাপাশি কোচ, ম্যানেজার এবং নির্বাচকদেরও রাখা হবে।’
২০১৬ সালের জুনে দু’স্তরবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি চালু করে বিসিবি। ছয়-সাতজনকে নিয়ে করা হয় প্যানেল। হাথুর“র বিদায়ের পর নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্বে আছেন দু’জন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার। কীভাবে দল নির্বাচন করা হবে এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘কোন ধরনের খেলা, কী ধরনের পিচ, কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে, এসব কোচ জানাবেন অন্য নির্বাচকদের। নির্বাচকরা এরপর দল নির্বাচন করবেন। চূড়ান্ত একাদশ কিন্তু অধিনায়কের হাতেই। ওখানে নির্বাচক বা আমাদের কিছু বলার নেই। সেরা একাদশ মূলত অধিনায়ক আর কোচ ঠিক করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের দীর্ঘ সময় আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু সিনহা ভাইয়ের (আফজালুর রহমান) মৃত্যুতে তা হয়নি। কোচের কথা সবাই শুনেছি। তিনি আমাদের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।’
সভায় জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে নতুন খেলোয়াড় নেয়া হবে কিনা, এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সাকিব, মোস্তাফিজদের বিশ্রাম দেয়া হবে কিনা, আলোচনা হয়েছে এ নিয়েও। বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
বিসিবি সভাপতি বুঝিয়ে দিলেন, এভাবে চলতে থাকলে তাদের বাদ দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের বিরূপ আচরণের ব্যাপারে দু’জনের নাম এসেছে। একজন (সাব্বির) এখন খেলছে, আরেকজন (নাসির) দলে নেই। আরেকজন যে দলে আছে, সে-ও না থাকার মতো। ওদেরকে বুঝতে হবে। সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রচুর, কিন্তু ওরা যদি ভালো হওয়ার সুযোগ না নেয়, তাহলে ওদের সমস্যা। বোর্ডের সমস্যা নয়। যদি না শোধরায় তাহলে আমাদের বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’