আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই সরকারের লক্ষ্য। সব দল অংশ নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই বিজয়ী হবে।’
রবিবার (১১ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের উপযুক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই প্রার্থী করা হবে বলে জানান দলীয় সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই জয়লাভ করবে। আমরা সবাই মিলে নির্বাচন করবো। সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে, সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচনটা কীভাবে করবো এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়—সে আলোচনা হয়েছে। অনেকে অনেক দাবি দাওয়া করেছিল। বেশ কিছু আমরা মেনে নিই। নির্বাচনটা যেন সবার জন্য অংশগ্রহণমূলক হতে পারে, সবাই যেন নির্বাচন করার সুযোগ পায়, সেদিকে আমরা দৃষ্টি রাখবো। সে কথা আমরা বলে দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সবাইকে স্বাগত জানাই যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সবাই মতামত দিয়েছেন, যা গণতান্ত্রিক ধারাকে আরও শক্তিশালী করবে। অর্থনৈতিক গতিও ত্বরান্বিত করবে, এটা আমি আশা করি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়নটা করেছি, তার ধারা যেন অব্যাহত থাকে— এটা আমরা চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই গতিটা যেন কোনও মতেই থেমে না যায়। বাংলাদেশকে আমরা যেন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি রেখেই আমরা আলাপ-আলোচনা করি।’
দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নমিনেশন পেপার দিয়েছি। চেষ্টা করবো উপযুক্ত প্রার্থীকে নমিনেশন দিতে।’
আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের ও রশিদুল আলম।