আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কর ফাঁকির বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। রবিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ‘আয়কর মেলা-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবেন, তাদের যদি ট্যাক্স ক্লিয়ার করা থাকে, বা যাদের সার্টিফিকেট গ্রহণ করা দরকার, তারা-তো নিজ আগ্রহে করছেন। আমরা সবার পেছনে দৌঁড়াবো না। নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে, এখানে আমরা কিছু করতে যাচ্ছি না।’ নির্বাচনের কারণে রেভিনিউ কম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
ভ্যাট ও শুল্ক খেলাপি ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা চলে যাক, তারপর নতুন সরকারের প্রথম দিক থেকেই এব্যাপারে একটা উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে সবারই কমবেশি দুর্নীতি আছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দুর্নীতি দমন কমিশনেরও (দুদক) দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।’
এনবিআরের আয়কর বিভাগের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি দুদকের প্রতিবেদন এখনও পাইনি। এ ব্যাপারে আমি দুদকের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কারণ, আপনি যদি একেবারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেন, তাহলে দুদকের দুর্নীতিও কত ধরনের সেটা বের করতে পারবেন। সবারই দুর্নীতি আছে আমাদের দেশে। সেটি পরিবর্তনের জন্য আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দুদক যদি শুধু কর ও কাস্টমস বিভাগকেই টার্গেট করে এবং এখানে তাদের অফিস স্থাপনের চেষ্টা করে, সেটা তো হবে না। দুদক যা-ই বলুক, ইনকাম ট্যাক্স আইন এবং কাস্টমস আইন অনুযায়ী যদি তাদের অ্যাক্টিভিটিস আমাদের এখানে অ্যালাও করে, তাহলেই শুধু করতে পারবে, আদারওয়াইজ নট।’
দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়ানো দরকার উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের সৎ কর্মকর্তাদের পুরস্কার এবং অসৎ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।’