পেঁয়াজের দাম কমছে। গত সপ্তাহে কিছুটা বাড়লেও দর স্থায়ী হয়নি। দেশি ও আমদানি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্নিষ্টরা। রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা ছোট পেঁয়াজের কেজি এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও বড় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমেছে, যা আগের সপ্তাহে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং বড় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল। দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকায় নেমেছে, যা আগের সপ্তাহে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়।
মিরপুর-১নং বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দাম ওঠানামার মধ্যে আছে। বাজারে এখন মৌসুমের নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের মজুদ ভালো আছে। এতে বাজারে দাম কমছে। তাছাড়া টিসিবি কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে বড় পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি করছে। এ কারণে আগের সপ্তাহে বাড়তে থাকা দর উল্টো কমে গেছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. আবু জাফর বলেন, এখন বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপক পরিমাণ দেশি পেঁয়াজ আসছে। সরবরাহ বাড়তে থাকলে দামও কমতে থাকবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা সরু মসুর ডালের দামও বেড়েছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য ডালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া ফার্মের লাল ডিমের দাম হালিতে দুই টাকা বেড়ে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারে শীতের শাকসবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়েছে। এতে আগের সপ্তাহের মতো দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এখন শিম নতুন গোল আলু, শালগম ও কাঁচা টমেটোর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে দেশি পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও আমদানি টমেটো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং মুলা ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে বরবটির কেজি এখনও ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। বেগুন ও করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এ ছাড়া প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।